মনির খাঁন, মুরাদনগর উপজেলা প্রতিনিধি:
করোনাকালে নিরলস সেবা দিয়ে এলাকায় বেশ প্রশংসিত কুমিল্লার মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান।
রাত হলেই চষে বেড়ান এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। চুরি, ডাকাতি ছিনতাই প্রতিরোধে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় বসিয়েছেন পাহাড়া। যার ফলে অপরাধ প্রবনতা অনেকাংশে কমে এসেছে।
এরই মাঝে তিনি অপরাধ দমন, চুরি ডাকাতি প্রতিরোধ এবং মাদক উদ্ধারেও বেশ সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। বিশেষ করে চলমান লকডাউন কার্যকর এবং মুরাদনগর থানার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে জনসাধারণকে সচেতন করাসহ করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ করে তিনি এলাকায় করোনা যোদ্ধা হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে খ্যাতি পেয়েছেন।
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকেই সরকারী এবং পুলিশ সুপারের নির্দেশনা বাস্তাবায়নে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। জানা যায়, গত বছরের ২০নভেম্বর ওসি সাদেকুর রহমান মুরানগর থানায় যোগদান করেন।
যোগদানের পর থেকেই তিনি মানবিক পুলিশিং সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন। কথা অনুযায়ী কোন প্রকার অর্থ ছাড়াই সাধারণ মানুষকে পুলিশিং সেবা প্রদানের কাজ তিনি এখনো অব্যাহত রেখেছেন।
মুরাদনগর থানাকে একটি জনবান্ধব থানা হিসেবে রূপান্তর করেন। এ ছাড়া চুরি-ডাকাতি-মাদক উদ্ধার এবং অপরাধ দমনেও তিনি বেশ প্রশংশনীয় কাজ করে যাচ্ছেন।
এদিকে মুরাদনগরে যোগদানের পর ওসি সাদেক বিট পুলিশিং কার্যক্রমকে বেশ তড়ান্বিত করে বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে এলাকায় সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। বিট পুলিশিংয়ের কল্যানে মানুষ থানায় না গিয়ে ইউনিয়ন পর্যায় থেকেই পুলিশিং সেবা গ্রহন করতে পারছে।
এতে মুরাদনগর থানা এলাকার জনসাধারন পুলিশের কাজে স্বস্থি প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকেই ওসি সাদেকুর রহমান পুলিশ সুপারের সকল নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছেন। পাশাপাশি জনসাধারণকে করোনা থেকে বাচঁতে সচেতন মুলক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ ছাড়া মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেছেন নিজ উদ্যোগে। মহামারী থেকে বাচঁতে সাধারণ মানুষ যেন লকডাউন মেনে ঘরে থাকেন সেই লক্ষ্যে ওসি সাদেকুর রহমান প্রতিনিয়তই মাঠে তৎপরতা চালাচ্ছেন।
এরই মাঝে তিনি গত এক মাসে ৩০কেজি গাজা ও ১৫ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধারসহ ৮জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার ও অপহরন হয়ে যাওয়া ২শিশু উদ্ধারসহ ৭জন অপহরনকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও ৭জন চোর গ্রেফতারসহ চুরি হয়ে যাওয়া ৩টি অটোরিস্কা, ১বাইসাইকেল ও চুরির সারঞ্জাম উদ্ধার করেন।
তাছাড়াও পুলিশ সুপার কুমিল্লার “মাদক ছাড়ো, না হয় কুমিল্লা ছাড়ো” এই স্লোগানকে বাস্তবায়ন করতে মাদকবিরোধি অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং উপজেলা কমিউিনিট পুলিশিংয়ের সভাপতি ম.রুহুল আমীন বলেন, ওসি সাদেকুর রহমান মুরাদনগরে যোগদানের পর আইন শৃংখলার ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষ কোন প্রকার হয়রানী ছাড়াই পুলিশিং সেবা পাচ্ছে। তাছাড়াও এ ওসি নিজেই প্রতিরাতে চষে বেড়াচ্ছেন এ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায়। আমরা এ পুলিশ কর্মকর্তার কাজে বেশ সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, কারোনা মহামারীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওসি সাদেক জনসচেতনতায় কাজ করে যাচ্ছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page